কুরআন ও সুন্নাহের ওপর আরোপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জাওয়াব
অনুবাদক: জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের।। সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, « قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِى ابْنُ آدَمَ “আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়…।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: الدنيا ملعونة . ملعون مافيها “দুনিয়া অভিশপ্ত এবং তাতে যা কিছু আছে তাও অভিশপ্ত।”
প্রশ্ন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রবের পক্ষ থেকে বর্ণনা দিয়ে যে বাণী- « قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِى ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ » অর্থ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয় তারা যুগকে গাল দেয় অথচ আমিই যুগ আমি রাত দিনের পরিবর্তনকারী।”[1] বলেছেন, তার মধ্যে এবং তার অপর বাণী «الدنيا ملعونة . ملعون مافيها إلا ذكر الله وما والاه أو عالما أو متعلما»“দুনিয়া অভিশপ্ত এবং তাতে যা কিছু আছে তাও অভিশপ্ত তবে আল্লাহর যিকির ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ অথবা আলিম অথবা শিক্ষার্থী।”[2] -এর মধ্যে কীভাবে বিরোধ নিরসন করব?
উত্তর: শাইখ রহ. এ কথা বলে উত্তর দেন যে, “দুনিয়া অভিশপ্ত এবং তাতে যা কিছু আছে তাও অভিশপ্ত” হাদীসটির বিশুদ্ধতা আমার জানা নেই। আমার জানা মতে হাদীসটি দুর্বল। কিন্তু যদি হাদীসটি বিশুদ্ধও ধরা হয়, তবে হাদীসটি গাল দেয়ার অধ্যায়ের হাদীস নয়। বরং হাদীসটি সংবাদ দেওয়া অধ্যায়ের। অর্থাৎ হাদীসে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাতে কোন কল্যাণ নেই কিন্তু যাবতীয় কল্যাণ আলেম, শিক্ষার্থী অথবা আল্লাহর যিকির এবং তার অর্ন্তভুক্ত বিষয়সমূহে নিহিত থাকবে। আর যুগকে গাল দেওয়ার অর্থ, তার মধ্যে সংঘটিত দোষ, ত্রুটি ও তাতে যা সংঘটিত হয় তার প্রতি অসন্তুষ্টি। আর এখানে বিষয়টিকে শুধু যুগের দিকে নিসবত করা হয়েছে। যদিও সবকিছুই আল্লাহর হাতে। যেমন একই হাদীসে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমিই যুগ আমার নিয়ন্ত্রণেই যাবতীয় সব বিষয়— আমিই রাত ও দিনকে পরিবর্তন করি। আল্লাহ তা‘আলাই তাওফীক দাতা।
শাইখ মুহাম্মদ ইবন উসাইমীন রহ.
[1] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬০০০
[2] ইবন মাযা, হাদীস নং ৪১১২